জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছাকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ।। জ্ঞানের সন্ধানে।। পেইজটি। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে। সর্বশেষে ।। জ্ঞানের সন্ধানে।। পেজ এর পক্ষ হতে আপনাকে স্বাগতম জানাই।

রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭

১১৫ বছর ধরে জ্বলছে যে বাল্ব!!

আপনার আশপাশে একটু তাকান। যেসব জিনিসপত্র দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোর বয়স কত হতে পারে? কত বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে মনে করেন? ৪ কিংবা ৫ বছর- এরপর সেকেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনটাই স্বাভাবিক।


সুতরাং জেনে আশ্চর্য হবেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোর রাজ্যের ফায়ারহাউসের একটি বাল্ব ১০০ বছরেও বেশি সময় ধরে জ্বলছে!

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই সত্যি। আজও জ্বলজ্বলে এই বাল্বটি ১৯০১ সালে ফায়ারহাউজে লাগানো হয়েছিল এবং তা মাত্র কয়েক বার বন্ধ করা হয়েছিল। ১০০ বছরের বেশি সময় পরও আজও ঠিকঠাকভাবে আলো ছড়াচ্ছে এই বাল্ব। এ ধরনের বাল্বের আয়ু সাধারণত ১ হাজার থেকে ২ হাজার ঘণ্টার হয়। এবং বর্তমানে যে ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব বা এলইডি লাইটের চল হয়েছে তাদেরও আয়ু ২৫ থেকে ৫০ হাজার ঘণ্টা।

সুতরাং পুরোনো আমলের ফিলামেন্ট লাগানো এই বাল্ব এত বছর ধরে জ্বলার ঘটনা বিস্ময়কর। বাল্বটি আরো কতবছরের দীর্ঘায়ুর রেকর্ড গড়বে, সেটা বলা না গেলেও, ইতিমধ্যে ১ মিলিয়নের বেশি ঘণ্টার রেকর্ড গড়েছে।

মাস্টারমাইন্ড ইলেকট্রিশিয়ান অ্যাডোলফে এ. চ্যাটেল এই বাল্বটির নকশা করেছিলেন এবং তার প্রতিষ্ঠান শেলবি ইলেকট্রিক এটি নির্মাণ করেছে। বাল্বটির ফিলামেন্ট যদিও টান্সটেন্টের পরিবর্তে কার্বন ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিম্ন তাপমাত্রায় বার্ন করতে সক্ষম হয় কিন্তু তা শুধু ১ বছরের জন্য কাম্য ছিল।

বাল্বটি মাত্র কিছু সময়ের জন্য কয়েকবার বন্ধ করা হয়েছিলে এক রুম থেকে অন্য রুমে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এবং লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে। বাল্বটি কী কারণে ১০০ বছরের বেশি দীর্ঘায়ু পেল, তা এক রহস্য। সঠিক কারণ কেউ জানে না। কারণ বিজ্ঞানীদের হাতে এই বিস্ময়কর বাল্বটি তুলে দেওয়া হয়নি পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য।

ফলে, অনেকে বাল্বটির শতায়ু নিয়ে যেসব ব্যাখ্যা প্রচলিত রয়েছে তার সবই অনুমান সাপেক্ষে। অনেকের মতে, ফিলামেন্টে ব্যবহৃত কার্বনের মান খুব ভালো হওয়ায় বাল্বটি এখনো আলো দিচ্ছে। আবার কারোর মতে, বাল্বের যে কাচের খোল আছে তা খুবই সুগঠিত এবং ভেতরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে বাল্বটি এখনো টিকে আছে।

সম্পাদনায়ঃ দুরন্ত পথিক

কোন মন্তব্য নেই: