এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তবে আপনি জানেন
কি যাদের কথায় বিশ্ব চলে তাদের হাতের মোবাইলটি কোন ব্রান্ডের? সম্প্রতি
জার্মানভিত্তিক সংবাদসংস্থা ডয়েচে ভেলে (বাংলা)য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে
বিশ্বের ক্ষমতাধর আট নেতা কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তা জানিয়েছে। আসুন
জেনে নেওয়া যাক বিশ্বনেতাদের পছন্দের মোবাইল ফোনের ব্র্যান্ড সম্পর্কে।
বারাক ওবামা :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গোয়েন্দাদের বাধা সত্ত্বেও
‘ব্ল্যাকবেরি’ ফোন ব্যবহার করছেন বারাক ওবামা। অবশ্য তার ব্যবহৃত ফোনটির
নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসএ। তবে এবার
ওবামার ব্যবহারের জন্য স্যামসাং ও এলজির বিভিন্ন মডেলও পরীক্ষা করে দেখা
হচ্ছে।
শেখ হাসিনা :
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ
করেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্যামসাং-এর ‘গ্যালাক্সি এসথ্রি’
ফোন ব্যবহার করেন।
জন কেরি :
গত বছরের নভেম্বর মাসে তোলা এক ছবিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে ‘ব্ল্যাকবেরি’ ফোন ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
আঙ্গেলা ম্যার্কেল :
সংসদে বসে মোবাইলে জার্মান বুন্দেসলিগার ধারাবিবরণী শোনেন– জার্মান
চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের মোবাইল প্রীতি সম্পর্কে এমন কথাও চালু আছে। গত
বছরের জুলাই থেকে তিনি ‘ব্ল্যাকবেরি জেড ১০’ ব্যবহার করছেন৷ অবশ্যই এতে
বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করা হয়েছে। এর আগে অবশ্য ম্যার্কেল ব্যবহার করতেন
নোকিয়া ৬২১০।
ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ :
বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নিজের ‘আইফোন’ থেকে সারাক্ষণ খুদে বার্তা পাঠান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ।
ডেভিড ক্যামেরন :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর
ডেভিড ক্যামেরনকেও তার ‘ব্ল্যাকবেরি’ ফোনটি ব্যবহার না করার পরামর্শ
দিয়েছিলন নিরাপত্তা কর্মীরা। কিন্তু তাদের কথা না শুনে ক্যামেরন এখনো
ব্ল্যাকবেরিই ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
মাটেও রেনসি :
ফরাসি প্রেসিডেন্টের চেয়েও ‘আইফোন’-এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট ইটালির তরুণ
প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসি। একবার তাকে অ্যাপল-এর প্রধান কার্যালয়ে অ্যাপল
লোগোর পাশে ছবি তুলতে দেখা গেছে। স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর নিজের ফেসবুকে
‘আইগড’-কে ‘আমাদের সময়ের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন
ইটালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেনসি।
ভ্লাদিমির পুতিন :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না।
২০১০ সালে তিনি তার মোবাইল না থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার যদি মোবাইল
থাকতো তাহলে সেটা সবসময় বাজতে থাকতো।’
তথ্য সংগ্রহেঃ দুরন্ত নাঈম