জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছাকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ।। জ্ঞানের সন্ধানে।। পেইজটি। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে। সর্বশেষে ।। জ্ঞানের সন্ধানে।। পেজ এর পক্ষ হতে আপনাকে স্বাগতম জানাই।

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

চৈতির একটি পা কমেছে, এখন দৌড়াতে পারবে

তিন পা নিয়ে জন্মেছিল চৈতি৷ জীবনের প্রথম তিন বছর কাটিয়েছে নিদারুন এক অস্বস্তি নিয়ে৷ বাবা-মায়ের চিন্তারও অন্ত ছিল না৷ তবে আশার কথা, চৈতির একটি পা বাদ দিতে সক্ষম হয়েছেন অস্ট্রেলিয়রা চিকিৎসকরা৷


মেলবোর্নের মনাশ শিশু হাসপাতালের শল্যচিকিৎসকরাও ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন৷ এজন্য তারা দীর্ঘসময় গবেষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ শিশু হাসপাতালটির সার্জারি হেড ক্রিস কিম্বার এই বিষয়ে জানান যে, গর্ভে থাকাকালীন চৈতি আসলে জমজ হিসেবে কিছুটা বেড়েছিল৷ কিন্তু

সেটা পূর্ণতা পায়নি৷ ফলে চৈতির দেহে একটি বাড়তি পা যুক্ত হয়৷ এছাড়া তার পায়ুপথ, জননেন্দ্রীয়ও একাধিক ছিল৷

আশার কথা হচ্ছে, শল্যচিকিৎসকরা এক বিরল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চৈতির দেহ থেকে একটি পা আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন৷ গত নভেম্বরে সেই অস্ত্রোপচার করা হয়৷ পাশাপাশি তার দেহের অন্যান্য জটিলতাও নিরসন করা হয়েছে৷ দীর্ঘ সময় অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত ছিলেন আটজন চিকিৎসক৷

চৈতি অবশ্য কিছুটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীও৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে সেটার উন্নয়ন সম্ভব নয়৷ তবে হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো দৃষ্টিশক্তি তার রয়েছে৷ কিম্বার জানিয়েছেন, চৈতি আগে মলমূত্রের বেগ ধারণে অক্ষম ছিল৷ চিকিৎসার মাধ্যমে সেটার সমাধান করা গেছে, যা এক অভাবনীয় ব্যাপার৷

চৈতির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় তার মা-ও ছিলেন৷ তিনি সে দেশের ব্রডকাস্টার চ্যানেল নাইনকে বলেন, ‘‘এখন সবকিছু ভালো আছে৷ সে অন্য সব বাচ্চার মতোই খেলতে পারে৷''

উল্লেখ্য, এর আগে জোড়া লেগে থাকা বাংলাদেশি দুই জমজ বোনকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা৷ এছাড়া গুলিতে আহত এক বাংলাদেশি শিশুর সফল চিকিৎসার খবরও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷

সম্পাদনায়ঃ দুরন্ত নাঈম
এআই/এসিবি (এএফপি)

কোন মন্তব্য নেই: